Monday, November 17, 2025

সততার হাতে গড়া এক গরিব ছেলের উঠোন-ভর্তি স্বপ্ন

 সততার হাতে গড়া এক গরিব ছেলের উঠোন-ভর্তি স্বপ্ন

মফস্বলের ছোট্ট শহর—চাঁদপুরের মাঝামাঝি এক গ্রাম। যেখানে কাঁচা রাস্তা, বাবুই পাখির বাসা, আর মানুষের মুখে গল্পের চেয়ে চিনি কম পাওয়া যায়। এখানেই জন্ম সাঈদের।

বাড়ির অবস্থা?
এক কথায়—স্ট্রাগল ভ্যালি।

বাবা মাছ ধরতেন, মা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। সাঈদ বড় হচ্ছিল অভাবের চোখ রাঙানি দেখে দেখে। কিন্তু ছেলেটার একটা জিনিস ছিল—তার ভিতরে ছিল অবিশ্বাস্যভাবে পরিষ্কার একটা মন। যেন অভাবের ধুলোও সেটাকে নোংরা করতে পারে না।

স্কুল শেষে সে স্টেশনের পাশে চা দোকানে কাজ করত। খুব বেশি আয় হতো না, কিন্তু সাঈদ নিজের কাজ ফাঁকি দিত না। কাজ করলে মন দিয়েই করত। দোকানদারও বলতেন,

“এই ছেলেটার চোখে যা দেখি, সেটা দুনিয়ায় সবার থাকে না—বিশ্বাস।”

একদিন সন্ধ্যায়, প্ল্যাটফর্মের একটা পুরনো বেঞ্চে একটি ব্রিফকেস পড়ে থাকতে দেখে সাঈদ। ভেতরে পাসপোর্ট, বিদেশি ডলার, কোম্পানির কাগজপত্র, ল্যাপটপ—বুঝাই যাচ্ছে, পুরো জীবন-সম্পদ।

চাইলে ওই ব্রিফকেস নিয়ে সে রাতারাতি শহর পাল্টাতে পারত, নতুন জীবন শুরু করতে পারত।
কিন্তু তার অন্তরের কম্পাস অন্যদিকে ঘুরে।

সে থানায় গিয়ে ব্রিফকেস জমা দেয়।

পরের দিন জানা গেল—ব্রিফকেসটি একজন বিশাল ব্যবসায়ী, “শামসুল ইনোভেশন গ্রুপ”-এর চেয়ারম্যানের। পুলিশ তাকে নিয়ে গেল চেয়ারম্যানের অফিসে।

চেয়ারম্যান হাসি দিয়ে বললেন,
“তোমার মতো ছেলে এখন বিরল। তোমার সততা আমার কোম্পানির দরকার।”

এভাবে সাঈদের জীবনে ঢুকে গেল কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড।
চা দোকানের ছেলে থেকে—মিটিং রুমের ছেলে।

ফাইল সাজানো দিয়ে কাজ শুরু।
তারপর রিপোর্ট তৈরি।
তারপর ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেল।
তারপর বাজেট ম্যানেজমেন্ট।

সব জায়গাতেই সাঈদ এমন কাজ করত যেটা দেখে সিনিয়রদের চোখ কপালে উঠত।
তার হিসাব ছিল পরিষ্কার, ভাবনা ছিল ঠাণ্ডা, আর মন ছিল স্থির।

একদিন কোম্পানিতে বিশাল প্রতারণার ঘটনা ধরা পড়ে। কয়েকজন সিনিয়র মিলে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। সবাই ভয় পেয়ে মাথা নত করে আছে।

কিন্তু সাঈদ এগিয়ে এসে ডেটা অ্যানালাইসিস করে পুরো চক্রের কার্যকলাপ প্রমাণ করে দেয়।
চেয়ারম্যানের কথায়—

“সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস লাগে, আর সাঈদ সেই সাহসী।”

সেই ঘটনার পর কোম্পানিতে সাঈদের অবস্থান আর শুধুই একজন কর্মচারী নয়—হয়ে গেল ‘বিশ্বাসযোগ্য পার্সন’।

ধীরে ধীরে পদোন্নতি, প্রমোশন, দায়িত্ব—সবই উঠতে লাগল লিফটের মতো।
এবং একসময় চেয়ারম্যান ঘোষণা দিলেন—

“আমি অবসর নিলে এই কোম্পানির রাশ থাকবে সাঈদের হাতে।”

কয়েক বছর পর, প্রতিশ্রুতি সত্যি হয়।
গরিব পরিবারের সেই ছেলে এখন একটি দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপের মালিক—
“Shamsul Group of Innovation—Owned by Saeed Karim”

আজও সে তার ডেস্কের ওপর একটা ছোট্ট নোট রেখে দেয়—
“চুরি করে বড় হওয়া যায়, কিন্তু দাঁড়ানো যায় না।”

লোকেরা তার গল্প শোনে,
কেউ মোটিভেটেড হয়,
কেউ চোখ মুছে ফেলে,
কেউ আবার নিজের ছেলেকে বলে—
“দেখিস, মানুষ সততায় হারায় না।”

ব্যাকলিংক

🔗 www.panda-fog.com
🔗 www.imagedoorz.com
🔗 www.aimesbd.com
🔗 www.patripatro.com
🔗 www.towfiq.xyz
🔗 www.biopesticide.one

হ্যাশট্যাগ

#HonestyStory #InspirationBD #RealSuccess #MotivationDaily #TowfiqWrites #LifeTurningPoint #BusinessLegend

No comments:

Post a Comment

Connect Employers & Startups With Premium Branded Domains — The Future of Digital Identity

 In today’s hyper-competitive digital world, the first impression of your business begins with your domain name. Whether you’re an employer ...