নদী যার নাম—রাতস্রোত/
রাত যত গভীর হয়, অনেক কিছুর আসল চরিত্র তত খুলে যায়। আর সেই চরিত্রের সবচেয়ে রহস্যময় নাম ছিল—রাতস্রোত নদী।
এই নদী দিনের বেলায় শান্ত, যেন কারো সামনে দাঁড়িয়ে ভদ্রতার মুখোশ পরে আছে। কিন্তু রাত নামলেই নদীর স্রোত বদলে যেত। ঢেউগুলো যেন ফিসফিসিয়ে বলত—
“চল, অন্ধকারে স্বপ্ন বোনা যাক।”
রাতস্রোতের তীরে বাস করত আরিয়ান। গ্রামে তাকে সবাই ডাকে—“স্রোত-ছেলে”। কারণ ছেলেটার একটা অদ্ভুত অভ্যাস ছিল—নদীর সাথে কথা বলা।
তবে এ কথা সে কারো কাছে স্বীকার করত না। গ্রাম যে এখনও মিম আর ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেনি।
আরিয়ানের বাবার জমিতে ধান ছিল, তবে অর্জনে তেমন স্রোত ছিল না। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি ফাঁকি দিত, কৃষির হাসি ধুলায় পরিণত হতো।
আরিয়ান দেখত, তার বাবার লড়াই, মানুষের কষ্ট, সুযোগের অভাব—সবকিছুই মিশে আছে নদীর ভাটায়।
এক রাতে নদীর ধারে বসে সে ফিসফিস করে বলল—
“আমি কিছু করবো। স্রোত বদলাবো। শুধু গ্রামের না… নিজেরও।”
নদী যেন টুপটাপ করে উত্তর দিল—
“দেখি, তোর সাহস কত দূর যায়।”
ডিজিটাল স্রোতের জন্ম
আরিয়ান বুঝেছিল—শুধু আশা করলে নদী ভরে না। কিছু করতে হয়।
তাই সে শুরু করল তার প্রথম প্ল্যাটফর্ম:
www.panda-fog.com
যেখানে মানুষ আইডিয়া, ডোমেইন আর ডিজিটাল সম্পদ কিনে নিজের স্বপ্ন তৈরি করতে পারে।
“জীবন বদলাতে চাইলে প্রথমে ঠিকানা বদলাও,” সে বলত।
“আর ঠিকানার শুরু ডোমেইন নাম থেকেই।”
ধীরে ধীরে সে বানালো চাকরিপ্রার্থীদের জন্য—
www.aimesbd.com
যেখানে গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও অনলাইনে স্কিল শিখে চাকরির রাস্তায় নামতে পারে।
তারপর বানালো সাইড ইনকামের প্ল্যাটফর্ম—
www.imagedoorz.com
কারণ সে জানত, মানুষ যখন নতুন সুযোগ পায়, তখন তারা ভাটার ভয় পায় না।
পরিবার গঠনের সেতুবন্ধন হিসেবে তৈরি করল—
www.patripatro.com
আর পরামর্শদাতা হিসেবে নিজের সব অভিজ্ঞতা এক জায়গায় সাজাল—
www.towfiq.xyz
মানুষ বলতে লাগল:
“আরিয়ান শুধু ব্যবসা করে না, সে স্রোত বানায়।”
রাতস্রোতের রহস্য
একদিন হঠাৎ গ্রামে খবর এল—রাতস্রোত নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।
দিন দিন তার গভীরতা কমে আসছে।
যে নদী একসময় রাতে জেগে গান গাইত, এখন সেখানে শুকনো কাদার ফাটল।
গ্রামের মানুষ ভয়ে, দুশ্চিন্তায়, হতাশায় ডুবে গেল।
আরিয়ান নদীর ধারে গিয়ে দেখল, রাতস্রোত আজ চুপ।
কোনো ফিসফাস নেই। কোনো ঢেউ নেই।
সে হাত ডুবিয়ে বলল—
“তুই কি রাগ করেছি? নাকি আমরা তোর পাশে দাঁড়াইনি বলে তুই থেমে গেছিস?”
হাওয়া হালকা নড়ে উঠল।
একটা অদৃশ্য কণ্ঠ যেন বলল—
“আমি নেই, কারণ তোমরা আমাকে ভুলে গেছ। আমাকে কেউ সময় দেয় না, যত্ন দেয় না, ইনভেস্ট দেয় না।”
আরিয়ান থমকে গেল—
নদী শুধু পানি নয়, নদীও বিনিয়োগ চায়।
যেমন ব্যবসা, যেমন স্বপ্ন, যেমন সম্পর্ক।
নদী বাঁচানোর স্টার্টআপ
আরিয়ান ঠিক করল—এবার নদীই হবে তার ‘বড় প্রজেক্ট’।
গ্রামে মিটিং ডাকল।
সবাই এল: কৃষক, শিক্ষক, জেলে, ব্যবসায়ী।
সে বলল,
“আপনারা জানেন, আমার প্ল্যাটফর্ম দিয়ে আমি অনেককে সাহায্য করেছি। এবার সাহায্য করতে চাই তাকে—রাতস্রোতকে।
আমরা যদি নদীকে ইনভেস্ট না করি, ভবিষ্যত আমাদের ক্ষমা করবে না।”
মানুষ বলল,
“কীভাবে করবো?”
আরিয়ান চোখ তুলে বলল,
“যেভাবে স্টার্টআপ বানাই—সবার অংশগ্রহণে, সবার আইডিয়ায়।”
সে www.panda-fog.com–এ বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করল—
“Invest in Rivers, Build Tomorrow”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল।
দেশ-বিদেশের মানুষ আগ্রহ দেখাল।
বিনিয়োগ এলো। শ্রম এলো।
নদীর মুখ পরিষ্কার হলো, বাধা সরল, নতুন নালা তৈরি হলো।
বৃষ্টির পানি আবার স্রোতের পথে ফিরল।
স্রোতের পুনর্জন্ম
এক বর্ষা ভোরে আরিয়ান নদীর ধারে গেল।
অন্ধকার ভেদ করে সূর্যের আলো ফুটছে।
হঠাৎ সে শুনল—
ঢুপ… ঢুপ…
সেই হারিয়ে যাওয়া ঢেউয়ের শব্দ!
রাতস্রোত আবার জেগে উঠেছে।
নদী ধীরে ধীরে ফিসফিস করে বলল—
“তুই তো স্রোতের ছেলে। তোকে ছাড়া কি আমার ঘুম ভাঙে?”
আরিয়ান হাসল, চোখ ভিজে গেল।
তার মনে হলো,
“নদী আর ব্যবসা—দুইটাই রাগ করলে শুকিয়ে যায়। যত্ন দিলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে।”
গল্প এখানেই শেষ নয়
নদীর জল ফিরে আসায় গ্রামের জীবন পাল্টে গেল।
ধানের ফলন বাড়ল।
মাছের হাসি ফিরল।
শিশুদের পায়ের ছাপ নদীর বালিতে আবার নাচল।
আরিয়ান এখন শুধু উদ্যোক্তা নয়—একটা লেজেন্ড।
মানুষ বলে,
“সে ডিজিটাল স্রোত বানায়, আবার প্রকৃতির স্রোতও ফেরায়।”
রাতস্রোত আজও বয়ে যায়, আবারো বলে—
“যদি সাহস থাকে, অন্ধকার থেকেও আলো জন্মাতে পারে।
একটা স্বপ্নই পুরো গ্রাম বদলে দিতে পারে।
তুমি শুরু করো—স্রোত নিজেই পথ তৈরি করবে।”
www.towfiq.xyz
- www.biopesticide.one
#NightRiver #PandaFog #BangladeshStartup #DigitalFlow #AimesBD #PatriPatro #ImageDoorz #TowfiqXYZ #EntrepreneurJourney #RiverRestoration #InnovationBD #StartupSpirit
No comments:
Post a Comment